ব্যবসা বাসা বই


Book Business Family

ব্যবসা বাসা বই
আসসালামু আলাইকুম।
২০১৮ তে আমি নতুন একটি সুত্রের সন্ধান পেলাম সেটা হচ্ছে ব্যবসা বাসা বই
২০১৭ তে বই পড়ার অভ্যাসটা আবার শুরু করলেও, এর উপকারটা আমি ২০১৮ তে ধরতে পারি।
[বই]
বই পড়া যে কতটা উপকারী সেটা আপনারা অনেকেই জানেন।
এই বছর আমার অনেকটা সময় কাটে নীলক্ষেতে বইয়ের বাজারে। তবে বই বাছাই আমি করতাম ওয়েবসাইটে। গুড রিড ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট আমি নিয়মিত ব্রাউজ করতাম। যে বই পছন্দ হতো সেসব বইয়ের রিভিউ আমি গুড রিডে দেখে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিতাম বইটি কিনবো।
এই বছর সম্ভবত ১২ টা বই পড়লাম। যার মধ্যে তিনটা পিডিএফ। এই বছর বাংলা বই পড়েছি শুধুমাত্র দুইটা, মুনির হাসানের গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং এবং কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজের পিচাশ দ্বীপ। দুটোই ছিলো অসাধারন বই।
২০১৮ তে আমার পড়া সেরা বইটি ছিলো, The Compound Effect by Darren Hardy. The Compound Effect এমন একটি বই, যেটা আজীবন মনে রাখার মতো বই, কাজের বই। বইটি নীলক্ষেত থেকে কিনেছিলাম। কয়েকটি পৃষ্ঠা প্রিন্টিয়ে আসেনি। সেই তিন পৃষ্ঠা আমাকে পড়তে হয়েছে পিডিএফ থেকে।
Sir Richard Branson এর প্রথম Auto Biography Losing My Virginity পড়ে শেষ করলাম এই ২০১৮ তে। বর্নাঢ্য জীবনের চড়াই উৎরাই পাড় হওয়া জীবনিটা যেন মাসুদ রানার এডভেঞ্চারকেও হার মানায়। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে বইটা পড়ে নিজের অনেক উপকারই করলাম।

[বাসা]
এই বছর আমার পারিবারিক জীবনে এক নতুন ছন্দ আসে। মে মাসের ৩ তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই কানিজ ফাতেমা দিলারার সাথে। ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ফেসবুকে। দুজনেই কোয়ান্টাম প্রোমাস্টার হওয়াতে আলাদা ভালোলাগা কাজ করেছিলো। আমরা একে অন্যের ব্যাপারে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে খোজখবর নেই। কানিজ একসময় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কসমো স্কুল এন্ড কলেজ লামার ইংরেজির প্রভাষক ছিলো।  বর্তমানে ও আছে শ্যামলির এক টিচার্স ট্রেনিং কলেজে।
আমাদের বিয়েটা অত্যন্ত সাদামাটা এবং পারিবারিবারিকভাবে হয়েছিলো। বিয়ের পর আমরা একসাথে শ্রদ্ধেয় গুরুজীর সাথে আখেরী দোয়া, ঈদ মোলাকাত এবং একাধিক সজ্ঞা জালালিতে উপস্থিত ছিলাম। শ্রদ্ধেয় গুরুজী একটি সজ্ঞা জালালিতে আমাদের জন্যে অনেক দোয়াও করেছেন। শশুরবাড়ি ঈশ্বরদী গিয়েছিলাম এবছর।
আম্মা এবং আমার বোনের মেয়ে ইলমির সাথেও চমৎকার কেটেছে বছরটি।

[ব্যবসা]
আমার অনলাইন ব্যবসাটা প্রযুক্তিনির্ভর। এতদিন মোবাইলে এবং মোবাইলে এমবি কিনে প্রযুক্তির কাজটা সেরেছি। ২০১৮ তে ল্যাপটপ হাতে আসে। বাসায় আনি ওয়াইফাই সংযোগ।  অনেকের কাছে এই উপকরনগুলো সাধারন হলেও আমার কাছে যা ছিলো জ্যাকপট। ইউটিউব থেকে নিতে থাকি একে একে প্রযুক্তি জ্ঞান। যা ব্যবসায়ের জন্যে অত্যন্ত দরকারি। অংশগ্রহন করি অনলাইন বিজনেস আন্তর্জাতিক ট্রেনিংগুলোতে, সরাসরি। পেয়ে যাই একজন আমেরিকান বিজনেস মেন্টর। উনি আমেরিকান হলেও আমাদের দেশিও ব্যবসায়ে পদ্ধতিগুলো কাজ করে।
ডিসেম্বরে সৌভাগ্যক্রমে সুযোগ পেয়ে যাই ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মাসব্যাপী ই-কমার্স ট্রেনিয়ে।
এই ট্রেনিং এর মাঝেই আমার মাথায় আসে আরেকটি ব্যবসা ই-কমার্স সার্ভিস প্রোভাইডারের। প্রথমে এই ব্যবসার নাম ঠিক করি “টাইম ২.০” এরপরে আরও কার্যকরী একটি নাম পাই “বিক্রি বাড়ুক ডটকম”।
বড়দিনে কিনে ফেলি বিক্রিবাড়ুক ডটকমের ডোমেইন। বিক্রি বাড়ুক ডটকমের কাজ চলছে। ই-কমার্স সার্ভিস প্রোভাইডারের ব্যবসা নিয়ে আমি আশাবাদী।

[কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন]
যতই ব্যস্ত থাকিনা কেন। কোয়ান্টামের সজ্ঞা জালালি আর প্রতিদিনের মনছবি মেডিটেশন মিস দেইনি। কোয়ান্টায়নে খতমে কোরআনে কোরআন খতম দিয়েছি। যতই ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বই পড়িনা কেন, কোরআনের জ্ঞানই হচ্ছে মুল ফাউন্ডেশন।

[উপসংহার]
বছরের শুরুটা খুব ব্যস্ততায় কাটছে। ইনশাল্লাহ আমাদের সকলের বছরটা ব্যস্ততায় কাটবে, ভালো কাটবে। নিয়মিত কোরআন পড়ুন, সৎ সংঘের সাথে পরিমিত যোগাযোগ রাখুন, ইনশাল্লাহ বছরটা আরও ভালো যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

পথে নামলে পথই পথ দেখায়

ক্যারিয়ার বান্ধব মেডিটেশন মনছবি

মাওলানা ছায়ীদুল হকের আরেকটি পরিচয়