Posts

Showing posts from May, 2018

স্বশিক্ষা বনাম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

Image
(ভূমিকা) একটি খুব দরকারি এক সত্য প্রকাশের জন্যে আমি আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আপনাদের কাছে শেয়ার করছি। আশাকরি এই লেখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা অথবা মন্তব্য করার আগে পুরো লেখাটাই আপনি পড়বেন। আমার লেখাটা পড়ে অনেকেই হয়তো ভাববেন আমি Robert Kiyosaki এর বই দ্বারা প্রভাবিত। মজার বিষয় হচ্ছে আমি ইংরেজি বই পড়া শুরু করি ২০১৭ এর মাঝামাঝিতে। উনার বই পড়ি ২০১৭ তেই। কিন্তু এই ঘটনা ২০০৩ সালের। তবে Rich Dad খ্যাত Robert Kiyosaki উনি খুব দুঃখ প্রকাশ করে একটি কথা বলেছেন। যেই বক্তব্য দিয়েই শেষ ভূমিকা শেষ করছি। "Today, the most dangerous advice you can give a child is 'Go to school, get good grades and look for a safe secure job.' " (এক) আমার জীবনের লক্ষ্যই ছিলো ব্যবসায়ী হবার। কিন্তু যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ওদের সিস্টেমে একেরপর আমার যেন আশাভঙ্গ হতে লাগলো। আমি মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার সাব্জেক্টও পেলামনা। যাইহোক ব্যাচেলার অব কমার্সে পড়া শুরু করলাম। ওখানে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, হিসাব বিজ্ঞানের পাশাপাশি ছিলো বাংলা এবং ইংরেজি। আমার তিক্ততা বা

সকালের পাখি (টাইম ম্যানেজমেন্ট পর্ব ১)

Image
  সকালের পাখি ============== তাজুল ইসলাম মাসুদ (এক) আমি স্কুল জীবনে পড়াশুনায় খুব একটা মনোযোগী ছিলাম না। আমি দাবা খেলায় সময় দিতাম। স্কুল জীবনেই পল্টনের জাতীয় ক্রিড়া কক্ষে আমার ছিলো নিয়মিত আসাযাওয়া। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন এর অনুর্ধ ১৬ এর দাবা খেলোয়াড় ছিলাম। দাবা ফেডারেশনে নিয়মিত আসতেন উপমহাদেশের প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ। এতবড় সেলিব্রেটি অথচ খুব সাধারণ চলাচল। আমার ছোটবোন, তখন ওর বয়স ছয়সাত হবে। ও জীবনের প্রথম অটোগ্রাফ নেয় তখন নিয়াজ মোর্শেদের কাছ থেকে। নিয়াজ মোর্শেদ উনিও কখনো কখনো প্রশিক্ষণ দিতেন। আমি যখন স্কুলে যেতাম, ক্ষুদে দাবাড়ু হিসেবেও স্যার ম্যাডাম এমনকি অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছে বেশ গুরুত্ব পেতাম। অনেক শিক্ষক আমাকে বাসায় ইনভাইট করতেন, যেন বাসায় গিয়ে দাবা খেলি তার সাথে। স্যারদের হারাতাম। কখনও স্যারেরা ভুল চাল দিলে ফিরিয়ে নেবার চেষ্টা করতো। হতেপারেন উনি শিক্ষক, কিন্তু এখানে উনি আমার দাবার প্রতিযোগী। আমি চাল ফেরত নিতে দিতাম না। স্কুলে খুব কমই যেতাম, যখন যেতাম ক্লাসের করিডর দিয়ে যখন হাটতাম, অন্যক্লাসের সিনিয়র জুনিয়র ছাত্ররা দেখতো আর বলতো, "ওইযে তাজ

ব্যবসায়ে টাকাকে নয় মার্কেটিংকে গুরুত্ব দিন

Image
(এক) আমার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আছেন। যিনি প্রজ্ঞাবান। উনি চাকুরীর চেয়ে ব্যবসা করাটাকেই প্রাধান্য দেন। আমরা অনেকেই তার নির্দেশিত পথেই আছি। আমাদের সমাজে অনেকেই ভাবেন, ব্যবসায়ে টাকাটাই আসল। শুধু টাকা থাকলেই ব্যবসা হয়। আমরা যারা ব্যবসায়ী হতে চাই Robert Kiyosaki এর নাম অনেকেই জানি। যাকে Rich dad ডেকে অনেকেই সম্মান করেন। একবার তার কাছে একজন এসে জিজ্ঞেস করলো, "আমিও বিখ্যাত লেখক হতে চাই। আমি কি করবো?" রবার্ট কিয়োসাকি উত্তরে বললেন, সেলসম্যানদের উপর একটি প্রশিক্ষণ চলছে আপনি সেই প্রশিক্ষণে অংশ নেন।" এটা শুনে সেই লোক গেলো ক্ষেপে, "আমি লেখক হতে চাচ্ছি, আর আপনি আমাকে বলছেন সেলসম্যান হবার কথা।" এরপরে কিয়োসোকি দেখালেন, "দেখেন আমার বইয়ের উপরে কি লেখা। International Best Seller Book. আর আমাকে বলা হয় International Best Seller Book Author. দেখেন এখানে কিন্তু সেলস আছে।" অর্থাৎ রিচ ড্যাড এখানে বুঝাতে চাইছেন বিখ্যাত লেখক হতে হলে সেলস অথবা বিক্রির কৌশলের উপর লেখকদের একটা ধারনা থাকা উচিৎ। দেখেন লেখালেখিতেও বিক্রির জ্ঞানের এত গুরুত্ব। তাহলে বিক্রি এবং মার্কেটিং জ

প্রতিদিন মেডিটেশন জীবনে আনে সাফল্যের স্পন্দন

Image
(এক) আসসালামু আলাইকুম। প্রতিদিন মেডিটেশন জীবনে আনে সাফল্যের স্পন্দন। আমরা অনেকেই মেডিটেশন এর গুরুত্বের কথা জানি। আমরা জানি মেডিটেশন নিয়মিত করলে শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, সেই সাথে পাওয়া যায় মানসিক, আত্মীক, পেশাগত এবং পারিবারিক সাফল্য। তারপরও আমরা প্রতিদিন মেডিটেশন নিয়মিত করিনা। কেন করিনা? কিভাবে নিয়মিত মেডিটেশন এর ক্ষেত্রে প্রতিবদ্ধকতা দূর করব? বিস্তারিত আলোচনা করছি। শুরুর রেজাল্ট চোখে পড়েনাঃ মেডিটেশন প্রতিদিন না করার এটা প্রধান কারন। অনেক ক্ষুদ্র বিষয় যা আমাদের চোখে পড়েনা, তা এড়িয়ে যাবার প্রবণতা আমাদের সকলের মধ্যেই আছে। ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর এই কথা দেশের প্রায় সব মানুষই জানেন। আমাদের দেশে কতজন সিগারেট খান তা আমরা জানিনা। তবে আমাদের এখানের অনেকের পরিচতরাই বিড়ি খায়না। অথচ শোনা যাচ্ছে, আমাদের দেশের বিড়ির শ্রমিকই নাকি দশ লক্ষ। তাহলে চিন্তা করেন, সিগারেট এর ভক্ত কয় কোটি হতে পারে। ধুমপান ক্ষতিকর জেনেও কেন তারা সিগারেট খাচ্ছেন, কারন শুরুর ক্ষুদ্র ক্ষতিকর রেজাল্ট তার কাছে ধরা পড়ছেনা। যদি প্রথম সিগারেটে রক্তবমি অথবা ক্যান্সার হতো, তাহলে সে কখনই সিগারেট খেতনা। অনেক

আমার মস্তিষ্ক আমার বিশ্বস্ত বন্ধু

Image
(এক) প্রথমেই একটি খুব পরিচিত গল্প দিয়েই শুরু করি। এক জঙ্গলে একজন যুবক আর এক ভালুকের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হলো। দুজনেই দুজনের খেয়াল রাখে। কিন্তু ভালুক যতই ভালো হোকনা কেন,যতই শক্তিশালী হোকনা কেন, সে ছিলো বোকা। ভীষণ বোকা। যুবক এবং ভাল্লুক একবার জঙ্গলের পথ দিয়ে অনেক হাটছিলো। যুবক ক্লান্ত হয়ে ভাল্লুককে বলল, বন্ধু আমি খুব ক্লান্ত, আমি ঘুমুচ্ছি। তুমি একটু খেয়াল রেখো। বলেই যুবক ঘুমিয়ে পড়লো। ভাল্লুক বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো খেয়াল রাখছে। হঠাৎ দেখলো একটি মাছি তার ঘুমন্ত বন্ধুকে খুব জ্বালাচ্ছে। ভাল্লুক ঠিক করলো, যেভাবেই হোক মাছিটার একটা দফারফা করতেই হবে। নইলে বন্ধু শান্তিতে ঘুমুতেই পারবেনা। সে কি করলো, মাছিটাকে মারার জন্যে ইয়া বিশাল খুব ভারী এক পাথর নিয়ে এলো। ভালুক এসে দেখলো মাছিটা বন্ধুর কপালে বসে আছে। সে মাছিকে মারার উদ্যেশ্যে পাথরটা বন্ধুর কপাল বরাবর সর্বশক্তি দিয়ে ছুড়ে মরলো। মাছি মরলো কিনা জানিনা। তবে ভাল্লুকের বোকামির কারনে বন্ধু মাথা থেঁতলে মারা গেলো। এই গল্পের পাদটীকা কি আমরা এভাবে বলতে পারিনা, "বোকা বন্ধু সর্বনাশের কারন হতে পারে।" অবশ্য এটা আমাদের আজকের আলোচনার

ক্যারিয়ার বান্ধব মেডিটেশন মনছবি

Image
(এক) প্রথমেই আমি পরিস্কার করে দিচ্ছি "মনছবি" জিনিসটা আসলে কি! আপনি যদি কোয়ান্টাম মেথড ফলো করে থাকেন তাহলে "মনছবি " বিষয়টা খুব ভালোভাবেই জানেন। আর যারা সিলভা মেথড ফলো করেন তারা "Mental Picture" অথবা "Mental Image" কি তা ভালোভাবেই জানেন। তারপরও কারও কারও বোঝার সুবিধার জন্যে খুব সহজ করেই বলছি। মনছবি হচ্ছে আপনি ভবিষ্যৎ এ কোন জায়গায় যেতে চাচ্ছেন অথবা ক্যারিয়ারের কোন অবস্থানে থাকতে চাচ্ছেন সেটা বিশ্বাসের সাথে কল্পনা করা, এবং সেখানে যাবার জন্যে বাস্তবে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। এটাই হচ্ছে # মনছবি । যেমন ধরুন আপনি একজন ঢাকার ড্রাইভারকে বললেন, আপনি কক্সবাজার যাবেন, এত টাকা পাবেন। ড্রাইভার রাজি হলো। সুযোগ পেয়ে ড্রাইভার ভবিষ্যৎ কল্পনা করলো, "সবাইকে নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছে, কক্সবাজার গিয়ে মোটা অংকের টাকা পেয়েছে। সে টাকাটা গুনছে।" আমি তাজুল ইসলাম মাসুদ, আমি একজন উদ্যেক্তা, প্রতিষ্ঠাতা টাইম ২০২৫। আপনি বলবেন, মাসুদ স্যার আরও ক্লিয়ার করে বললে ভালো হয়। Okay, আরও ক্লিয়ার করে বলছি। ধরুন আপনি জীবনের লক্ষ্য ঠিক করলেন সফল ব্যবসায়ী হবেন।

উপকরণ নয়, ব্যর্থতার কারণ অন্তর্গত উদ্যমহীনতা

Image
(এক) "উপকরণ নয়, ব্যর্থতার কারণ অন্তর্গত উদ্যমহীনতা" এই সত্যটা যে একবার অনুধাবন করতে পেরেছে, যে একবার বুঝতে পেরেছে, সে এগিয়ে যাবেই। আমরা অধিকাংশই তাকিয়ে থাকি উপযুক্ত উপকরনের দিকে। শুধুমাত্র বড়বড় উপকরনকেই মনে করি পরিত্রানের একমাত্র উপায়। আপনারা অনেকে জানেন আজ থেকে প্রায় দেড়দুই যুগ আগে বিটিভিতে একটি বিদেশি নাটক দেখাতো। নাটকটা খুবই জনপ্রিয় ছিলো। নাটকটার নাম ছিলো Macgyver. অনেক বাঙালি এই নাটকের নায়ক অভিনেতা রিচার্ড ডিন এন্ডারসন এর নামটা ভুলে গেলেও ভুলে যায়নি তারই অভিনীত কাল্পনিক চরিত্র Macgyver (ম্যাকগাইভার) এর নাম। কাল্পনিক এই চরিত্রটাকে কেন আমরা দুইযুগ ধরে মনে রেখেছি? কারনটি হচ্ছে, ম্যাগগাইভার যখনই বিপদে পড়তো, সে মাথাটাকে ঠান্ডা রাখতো, ইতিবাচক থাকতো। তার কাছে পরিত্রাণ পাবার জন্যে তেমন কোনও উপকরণ না থাকা সত্বেও মাথা ঠান্ডা রাখতো, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও। তখন ম্যাগগাইভার কি করতো। পরিত্রাণের জন্যে উদ্যমী হয়ে আশেপাশে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো জড়ো করতো। সেই জিনিস গুলো একত্র করে রাসায়নিক অথবা পদার্থবিজ্ঞানের কৌশলকে কাজে লাগিয়ে সেই উচ্ছিষ্ট ফেলে

ফিতরত

Image
  (ভূমিকা) কয়েকদিন আগে একজন প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তির সাথে প্রায় আট ঘন্টার মতো ছিলাম। সেই প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তি এমন একটি বিষয়ের উপরে কিছু মুল্যবান কিছু আল োচনা করলেন, যা আমাকে মুগ্ধ করলো। বিষয়টা ছিলো "ফিতরত"। আসলে কি এই "ফিতরত"? শব্দটা অনেকের জন্যেই নতুন। আমি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি। উনার আলোচনার অবলম্বনে আমি নিচের লেখাটা লিখলাম। আমি লেখাটা এমনভাবে তুলে ধরছি, যাতে করে সবাই বুঝতে পারে। তবে যারা আত্মীকভাবে নিজের আরোও উন্নতি চান, লেখাটা পড়ে তারাও উপকৃত হবেন। (এক) ফিতরত কি? স্রস্টার সৃষ্টি এই প্রকৃতি। প্রকৃতির আইন হচ্ছে "ফিতরত"। মানুষের স্বভাব ধর্ম হচ্ছে ফিতরত। একটা বাচ্চা যখন জন্মগ্রহণ করে। ছোট বাচ্চাকে বুঝাতে হয়না কিভাবে খেতে হয়। সে মুখ দিয়েই খায়। সে নাক দিয়ে খাবার চেষ্টা করেনা। এটা তার ফিতরত। এটা তার স্বভাব। অর্থাৎ প্রকৃতি যে নিয়ম করেছে, সেই নিয়মটা হচ্ছে ফিতরত। একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করে সমর্পিত হয়ে, এটা তার ফিতরত। তার জীবনে দুঃখকষ্ট আসেনা। দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত থাকে। তবে নিয়মের বাইরে গেলে দুঃখকষ্ট আসে। হযরত আদম আঃ খুব সুখেই ছিলেন। যখনই নিয়মের বাইরে গেলে